বাউফল প্রতিনিধি ॥ পটুয়াখালীর বাউফলে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য এক চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী মোঃ হেলাল খানের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এ সময়ে তাঁর ছেলে সাজিদ খানসহ ছয় ব্যক্তিকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। আহতদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে একজনকে পটুয়াখালী হাসপাতালে ও চার জনকে বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান কর্তব্যরত চিকিৎসক। হেলাল খানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আহতদের বাড়ী কাছিপাড়া ইউনিয়নের কারখানা গ্রামে। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার উপজেলার কাছিপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরন করা হয়। এ সময়ে হেলাল খান স্থানীয় জনগনের সাথে কুশল বিনিময় করার জন্য সেখানে গেলে হেলাল খানকে দেখে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য অন্য এক প্রার্থীর স্বজনেরা ক্ষুদ্ধ হয়। এক পর্যায়ে একই গ্রামের মিরনের ছেলে গালিফ মাহমুদও সোহরাব হাওলাদারের ছেলে রাকিব হাওলাদারের নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের একটি দল হেলাল খানকে মারধর করেন। খবর পেয়ে হেলাল খানের ছেলে মোঃ সাজিদ খান (১৫), ছালাম খানের ছেলে তানভির খান (১৫) ও স্মার্ট কার্ড নিতে আসা আনোয়ার গাজীর ছেলে মোঃ বশির গাজী (২০), সবুজ খানের ছেলে অপু খান (২০), কালাম খলিফার ছেলে রবিন খলিফা (১৮), আজিজ মল্লিকের ছেলে হাসান মল্লিক (২০) এগিয়ে গেলে তাঁদেরকেও পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে আহত করা হয়েছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে হেলাল খান বাদী হয়ে পাঁচ জনকে আসামী করে বাউফল থানায় একটি লিখিত এজাহার দাখিল করেন। স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ২০১৬ ইং সালের ২২ শে মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেন হেলাল খান। সে বছর নির্বাচনে পরাজিত হলেও সব সময়ে জনগনের পাশে ছিলেন। এতে তাঁর জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়। এ বছর আসন্ন ইউনিয়ন পরষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আবারও নির্বাচনে অংশ গ্রহন করার ঘোষণা দেন তিনি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর প্রতিপক্ষের লোকজনের এ হামলা চলাতে পারে। বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি এজাহার দাখিল করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply